কেশবপুর প্রতিনিধি :
কেশবপুরে বুধবার ১ জন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শকসহ ২ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬ জনই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারসহ বিভিন্ন পদে কর্মরত। অন্য ৩ জন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার। বুধবার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাক্তার আলমগীর হোসেন। এছাড়াও উপজেলার ইমাননগর গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে রেখে চিকিৎসাধীন মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারীর সংস্পর্শে থাকা তার এক শ্যালক মাদ্রাসা ছাত্র করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। এ নিয়ে উপজেলায় মোট করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়াল ১০ জনে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ ৬ ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে সোমবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারে পাঠানো হয়। বুধবার ওই রিপোর্টে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ জন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও ১ জন ক্লিনিক কর্মীর শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গত মঙ্গলবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ জন মেডিকেল অফিসার, ১ জন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, ১ জন ষ্টোর কিপারসহ শহরের আলতাপোল এলাকার ১ জন ইলেক্ট্রিশিয়ানের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর আগে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরো ১ জন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ও ১ জন স্বাস্থ্য সহকারী এবং উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের ১ জন গৃহবধূ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। আক্রান্তদের মধ্যে ৭ জনকে হাসপাতালের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। অপর ২ জন আক্রান্ত রোগীদের বাড়ি লকডাউন করে তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। এছাড়াও উপজেলার ইমাননগর গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে রেখে চিকিৎসাধীন মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারীর সংস্পর্শে থাকা তার এক শ্যালক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়।
কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাক্তার আলমগীর হোসেন বলেন, আক্রান্ত ৯ জনের মধ্যে ৭ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অপর ২ জন আক্রান্ত রোগীদের বাড়ি লকডাউন করে তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে ইমাননগর গ্রামের আক্রান্ত ওই মাদ্রাসা ছাত্রকে বাড়িতে রেখে মনিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তদারকির মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান করছে। এছাড়াও আজ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ অন্যান্য ১৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে যশোর মেডিকেল কলেজের জিনোম সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার শুভ্রা রানী দেবনাথ বলেন, ইমাননগর গ্রামের আক্রান্ত ওই মাদ্রাসা ছাত্র সুস্থ রয়েছেন।