কেডিএ’র ময়ূরী প্রকল্পের ৭০ ভাগ অগ্রগতি আগামী জুন পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি

খুলনার চিত্র ডেস্কঃ
  • প্রকাশিত : রবিবার, ১২ জুলাই, ২০২০

খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ)’র ময়ূরী প্রকল্পে গড়ে শতকরা ৭০ ভাগ অগ্রগতি হয়েছে। এছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়নে আগামী বছর জুন পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি পেয়েছে। সংস্থাটির কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমান চেয়ারম্যান যোগদানের পর কাজ গতিশীল করেছেন। যার কারণে দ্রুত এগিয়ে চলেছে সকল অঙের কাজ। এ ধারা অব্যাহত থাকলে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই প্ল¬ট হস্তান্তর করা সম্ভব হবে।

কেডিএ সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে মহানগরীর পশ্চিম প্রান্তে সিটি বাইপাস সড়ক সংলগ্ন আহসানাবাদ মৌজায় ‘ময়ূরী’ নামে নতুন একটি আবাসিক এলাকা নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সংস্থাটি। ডুমুরিয়া ও বটিয়াঘাটা উপজেলার ৯০ একর জমির উপর এ আবাসিক এলাকাটি নির্মাণ করা হচ্ছে। কেডিএ’র গ্রহণ করা এ প্রকল্পটি একনেকের সভায় অনুমোদন পায় বিগত ২০১৩ সালে। প্রাথমিকভাবে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন ব্যয় ছিল ১২৫ কোটি ১১ লাখ টাকা। কিন্তু জমির দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রকল্পের সংশোধিত ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজল (ডিপিপি) মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করে সংস্থাটি। ২০১৫ সালে সংশোধিত প্রকল্পে ২৩৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দেয় মন্ত্রণালয়। যার বাস্তবায়ন কাল ধরা হয় ২০১৭ সাল পর্যন্ত। ওই মেয়াদে প্রকল্পের প্লট বরাদ্দের কাজ শেষ হয়। তবে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় পুনরায় ২৭৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকার সংশোধিত ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজল (ডিপিপি) গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়। মন্ত্রণালয়ে অনুমোদন শেষে ভূমি উন্নয়ন ও ঠিকাদারী নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এরপর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রকল্পের সকল অঙ্গের নির্মাণ কাজ শুরু করে। কিন্তু নানা কারণে বাস্তবায়ন কাজ বিলম্বিত হয়। সর্বশেষ বর্তমান চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আব্দুল মুকিম সরকার সংস্থায় যোগদানের পর কাজে গতি ফিরে আসে।

কেডিএ’র কর্মকর্তারা জানান, বর্তমান চেয়ারম্যান নিয়মিত বাস্তবায়ন কাজ তদারকি করছেন। যার কারণে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে নির্মাণ কাজ। ইতোমধ্যে বালু ভরাট কাজ সমাপ্ত হয়েছে, সড়ক উন্নয়ন কাজ শতকরা ৭০ ভাগ, ড্রেন নির্মাণ কাজ ৫০ ভাগ, বৈদ্যুতিকরণ কাজ ৫০ ভাগ পানির লাইন স্থাপন কাজ ৫০ ভাগ, কালভার্ট ও লেক উন্নয়ন কাজ ৩০ ভাগ শেষ হয়েছে। সর্বমিলে প্রকল্পে গড়ে শতকরা ৭০ ভাগ অগ্রগতি হয়েছে। অন্যদিকে যারা টাকা পরিশোধ করেছে লটারীর মাধ্যমে তাদেরকে প্ল¬ট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এধারা অব্যাহত থাকলে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই প্লট হস্তান্তর করা সম্ভব হবে। তারা আরও জানান, বর্তমানে করোনা কালীন সময়ে প্রকল্পে নির্মাণ শ্রমিকরা সামাজিক দুরুত্ব মেনে ছোট ছোট দলভুক্তভাবে কাজ করছে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি মাথায় রেখে সুবিধা মতো হাত ধুচ্ছে ও মাস্ক ব্যবহার করছে তারা। সূত্র : সময়ের খবর

সংশ্লিষ্ঠ আরও খবর