আমরা সবাই বীর মুক্তিযোদ্ধা। জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে জীবন-মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। যুদ্ধকালীন কমান্ডার আব্দুল গণি ও শেখ ওয়াহেদুজ্জামানের অধীনে আমরা দুই দলে ভাগ হয়ে স্বাধীনতার সংগ্রামে মাঠে ময়দানে খান সেনাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করেছি। দিনের পর দিন ক্ষুধার্ত শরীর নিয়েও বীরের মতো লড়াই করেছি। স্বাধীনতার পর সরকারিভাবে আমরা ২২ জন মুক্তিযোদ্ধা গেজেডভুক্ত হয়েছি। নিয়মিত সম্মানীভাতাসহ সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা পেয়ে আসছি। অথচ দীর্ঘ ৪৮ বছর পর কালিগঞ্জের একটি কুচক্রী মহল আমাদেরকে রাজাকার বানানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এমনিই কথা বললেন কালিগঞ্জ থেকে আসা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।
সোমবার (২৪ ফেব্রয়ারি) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আকবর আলী জানান, কালিগঞ্জের গেজেডভুক্ত ২২ জন মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে ১০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। তাদেরকে রাস্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। তাদের পরিবারবর্গ নিয়মানুযায়ী সরকারি ভাতা পাচ্ছেন। এরপরও আমাদেরকে সমাজে ও রাষ্ট্রীয়ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে এলাকার সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাকিম, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ অজিহার রহমান, সহাকারি কমান্ডার আব্দুর রউফ, শেখ মনির আহমেদসহ একটি মহল নানান ধরণের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারা ইতোমধ্যে সাংবাদিকদের ভুল বুঝিয়ে কয়েকটি পত্রিকায় আমাদেরকে নিয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করিয়েছে। যার প্রতিবাদও আমরা সংশ্লিস্ট পত্রিকায় ছাপিয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা আরো বলেন, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের অপমানিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ পিরুল হক, আবুবক্কর ছিদ্দিক, আজিজুর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুস সামাদ, আজু কারিকর, বাহাদুর মোল্যা, জোহর আলী, আবুল হোসেন, আবুল কাশেম, শেখ মেহের আলী, মৃত বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ আসাদুর রহমানের স্ত্রী রানী, মৃত ওয়াহেদের স্ত্রী হাসিনা, শেখ ইব্রাহিমের কন্যা আছমা বেগম, আরশাদ আলীর স্ত্রী জোহুরা, শেখ আলি মর্তুজার ছেলে শেখ আহসানুর রহমান ও আরশাফ হোসেনের ছেলে রাসেল কবীর।