কাভার্ড ভ্যান আটকিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী। টাকা দিতে অস্বীকার করলে কাভার্ড ভ্যান চালকের থেকে ১৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা। ছিনতাই করে দৌড়ে পালানোর সময় পুলিশ তাদের আটক করে। পরে আটক তিন শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার দেখিয়ে কোর্টে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আজ সোমবার (০৬ ফেব্র“য়ারি) বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার এসআই মো. ওমর ছানী নাঈম। গতকাল রবিবার রাত ৩টার দিকে রাজধানীর পলাশীতে অবস্থিত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতার তিন শিক্ষার্থী হলেন, থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের ফজলে নাবিদ সাকিল, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মো. রাহাত রহমান ও সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাদিক আহাম্মদ। তারা তিনজনই ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী। ফজলে নাবিদ সাকিল ও সাদিক আহাম্মদ ঢাবির বিজয় একাত্তর হলের গণ রুমে, রাহাত রহমান চকবাজারের একটি ভাড়া বাসায় থাকে।
শাহবাগ থানার এসআই বলেন, ‘তারা তিনজন রাত ৩টার সময়ে কাভার্ড ভ্যান আটকিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে, ৫০ হাজার টাকা না পেয়ে ড্রাইভারের কাছে থাকা ১৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর সময় চকবাজার থানা-পুলিশ আটক করে, সে সময় আমি ডিউটিরত অবস্থায় ছিলাম। পরে আটক করা তিনজন আসামিকে নিয়ে থানায় হাজির হই; ছিনতাইয়ের শিকার ব্যক্তি দস্যুতার মামলা দিলে আমলে নিয়ে তাদের কোর্টে প্রেরণ করা হয়।’
ট্রাক চালক আবু তাহের জুয়েল জানান, শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আমার ছোট ভাই রাশেদসহ লালবাগ থেকে টঙ্গীর যাচ্ছিলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বুয়েট মসজিদের সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌঁছালে আসামিরা একটি লাল ও কালো রঙের মোটরসাইকেল এসে গাড়ির গতিরোধ করে। পরে ট্রাকের সামনে তাদের মোটরসাইকেলটি রেখে আমাকে ও আমার ভাইকে গাড়ি থেকে নামতে বলে।
তিনি জানান, তারা আমাদের হত্যার ভয়ভীতি দেখিয়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারপিট করে পকেটে থাকা নগদ ১৫ হাজার টাকা জোর করে ছিনিয়ে নেয়। পরে ডাক-চিৎকার দিলে তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় শাহবাগ থানার টহল দলের এসআই ওমর ছানী নাঈম এসে তাদের আটক করে। পরে পুলিশ সেখান থেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের আটক করে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও আদালত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে।’