করোনা প্রতিরোধে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) ছাড়াই অনেকে রোগীদের সেবা দিয়ে আসছেন। এতে করে চিকিৎসক, রোগীসহ সাধারণ মানুষ করোনা ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানা গেছে। আবার নিজ উদ্যোগে কেউ কেউ পিপিই সংগ্রহ করে সেবা দিচ্ছেন।
করোনাভাইরাস ঝুঁকির মধ্যেও সি পি এম ডাক্তার আরিফ বিল্লাহ আশাশুনি চাম্পাফুল স্কুল মোড়ে চেম্বারে বসে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
প্রতিদিন গ্রাম অঞ্চল থেকে বিভিন্ন বয়সের শিশু থেকে সাধারণ মানুষ ঠাণ্ডা, জ্বর, সোর্দী, কাশি, এলার্জী জনিতরোগসহ বিভ্ন্নি রোগে আক্রান্ত হয়ে ডাক্তার আরিফ বিল্লাহ কাছে আসছেন চিকিৎসা সেবা নিতে।
সি পি এম ডাক্তার আরিফ বিল্লাহ বলেন, চেম্বার ছাড়াও বাড়িতে বাড়িতে যেয়ে রুগী দেখেন তিনি। ডাক্তার আরিফ বিল্লাহ (প্যারামেডিকেল) পেশেন্ট কেয়ার এফ টি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এম সি এইস ঢাকা শিশু হাসপাতাল কলেজ মা ও শিশু বিষয়ে অভিজ্ঞ ডাক্তারী পেশায় বেশ অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
প্রতিদিন ২০-২৫ টি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রুগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন। সরকার বা স্বাস্থ্য বিভাগের তরফ থেকে কোনো সহায়তা, সুরক্ষা উপকরণ না পাওয়ার পরেও বসে থাকেননি সরকারি সাহায্যের জন্য।
আর সাধারণ হতদরিদ্র মানুষের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন দিনের পর দিন। এছাড়া রাতে যে কোন মুহুত্তে কেউ অসুস্থ্য হলে গ্রাম ডাক্তার আরিফ বিল্লাহ ফোনে যোগাযোগ করলে অসহায় রোগীকে সুস্থ্য করতে ছুটে যান তিনি।
ডাক্তার আরিফ বিল্লাহ জানান, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে ভয়কে জয় করে পল্লী এলাকার সাধারণ মানুষদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। এবং করোনা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ঘরে থাকার পাশাপাশি সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখা ও ঘনঘন সাবান অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।
ডাক্তার আরিফ সকলের উদ্দেশ্যে বলেন মনে রাখবেন সর্দি, কাশি বা শুকনো কাশি অথবা জ্বর মাথা ব্যাথা মানেই করোনা ভাইরাজ নয়। সচেতনতার মাধ্যমে করোনা প্রতিরোধ করা সম্ভব।