টেন্ডারে সাড়া না মিললে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় নগরীর জোড়াগেট পাইকারী কাঁচা বাজারে এবারও বসবে কোরবানির পশুর হাট। করোনাভাইরাস সংক্রমণের উর্ধ্বমুখী প্রবনতার মধ্যে এবার এক ভিন্ন পরিস্থিতিতে এ হাট বসছে। তবে হাট পরিচালনার ক্ষেত্রে সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মানাতে দেয়া হয়েছে কঠোর নির্দেশনা।
কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছরের ন্যায় নগরীর জোড়াগেটে সপ্তাহব্যাপী কোরবানির পশুর হাট বসানোর জন্য সিটি কর্পোরেশন চলতি মাসের ২৫ ও ২৯ জুন এবং ২ জুলাই টেন্ডারের আহ্বান করে। কিন্তু প্রথম টেন্ডার আহ্বানে সাড়া না পাওয়ায় আগামী ২৯ জুন ও ২ জুলাই ফের টেন্ডারের আহ্বান করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে সরকারিভাবে হাটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। টেন্ডারে সাড়া না মিললে শেষ পর্যন্ত নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কোরবানির এ পশুর হাটের আয়োজন করবে কর্পোরেশন।
সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) বাজার সুপার মোঃ সেলিুমর রহমান বলেন, স্থায়ী কমিটির মিটিংয়ে হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কোন ইজারাদার পাওয়া না গেলে এবারও নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কোরবানির পশু হাটের আয়োজন করা হবে। সপ্তাহব্যাপী আয়োজিত হাটে থাকবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা, প্রবেশের জন্য পাকা রাস্তা, সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবারহের নিশ্চয়তা, কম্পিউটাররাইজ পদ্ধতিতে হাসিল আদায়সহ সকল প্রকার আধুনিক ব্যবস্থাপনা, সার্বক্ষণিক পশু চিকিৎসা ও হাটে আগতদের চিকিৎসা, আধুনিক পাবলিট টয়লেট, পুলিশ ও র্যাবের যৌথ সমন্বয়ে ২৪ ঘন্টা নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং পশুরহাট চলাকালে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া মোকাবেলা করতে নানা কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
অপরদিকে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে হাট পরিচালিত হবে তাই মুখে মাস্ক পরা, হাত ধোয়া ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে নাকী আরও বাড়তি সতর্কতা যেমন ভীড় কীভাবে সামলানো হবে, ক্রেতা-বিক্রেতা ও কর্মীরা কতজন একসাথে ঢুকতে পারবে, আলাদা প্রবেশ ও প্রস্থানের পথ, তাপমাত্রা পরিমাপ ও দুর-দুরান্ত থেকে গরু নিয়ে আসা-যাওয়া ও তাদের থাকা খাওয়া ইত্যাদি বিষয়ে সু-স্পষ্ট কী কী পরিকল্পনা রয়েছে এমন প্রশ্নের কোন জবাব দিতে পারিনি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। তবে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ একেএম আব্দুল্লাহ বলেন, তারা বলেছেন নির্দেশনা আসলে তা প্রতিপালন করবেন। এখন যথেষ্ট সময় রয়েছে।