আশাশুনিতে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের উপর সাঁকো নির্মাণ, চলাচল করছে এলাকাবাসী

খুলনার চিত্র ডেস্কঃ
  • প্রকাশিত : শনিবার, ১৩ জুন, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক
সাতক্ষীরার আশাশুনি-ঘোলা নামের সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) যে পাকা সড়কে বাস, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহনে চলাচল করতো মানুষ, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে নদীর বাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হওয়ায় সেই সড়কের উপর বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে তার উপর দিয়ে এখন চলাচল করছে এলাকাবাসী।

জানা যায়, সুপার সাইক্লোন অম্পানের প্রভাবে খোলপেটুয়া নদীর প্রবল জোয়ারের তোড়ে আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলা ও শ্রীউলা ইউনিয়নের হাজরাখালী পয়েন্টে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ভেড়ীবাঁধ ভেঙে যায়। এতে নদীর লোনা পানিতে প্লাবিত হয়ে পড়ে প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলা, ঘোলা ও হিজলীয়া গ্রাম এবং শ্রীউলা ইউনিয়নের হাজরাখালী, মাড়িয়ালা, কলিমাখালী, লাঙ্গলদাড়িয়াও বকচরসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। তলিয়ে যায় এসব গ্রামের খাল বিল, পথঘাট, ঘরবাড়ি ও মৎস্য ঘের। প্রতাপনগরের কোলা ও শ্রীউলা ইউনিয়নের হাজরাখালী পয়েন্টে ভেঙে যাওয়া ভেড়ীবাঁধ গত তিন সপ্তাহে মেরামত করা সম্ভব না হওয়ায় এই দু’টি ভাঙন পয়েন্ট দিয়ে খালপেটুয়া নদীর পানি ঢুকে উল্লেখিত গ্রামগুলোতে নিয়মিত জোয়ার-ভাটা হতে থাকে। ফলে সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতাধীন আশাশুনি-ঘোলা সড়কের কলিমাখালী এলাকায় সড়কে উপর দিয়ে নিয়মিত জোয়ার ভাটার পানি প্রবাহিত হতে থাকায় ওই অংশে সড়কটি ভেঙ্গে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে সড়কের ওই অংশ পানিতে তলিয়ে থাকায় পথচারীদের চলাচল একেবারে অসম্ভব ও কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

এদিকে সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় মানুষের দুর্দশা লাঘবে এগিয়ে এসেছেন কলিমাখালী গ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবক আব্দুস সবুর সরদার। তিনি নিজের অর্থ ব্যয় করে গ্রামের তরুন ও যুব সমাজের উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের ওই অংশের উপর বাঁশ ও গাছ দিয়ে মানুষের যাতয়াতের জন্য সাঁকো নির্মাণ করে দিয়েছেন। ফলে মানুষ এখন সহজে সড়কের উপরের পানি পার হয়ে যাতয়াত করতে পারছেন।

শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল জানান, অম্পানের প্রভাবে খোলপেটুয়া নদীর প্রবল জোয়ারের তোড়ে প্রতাপনগরের কোলা ও শ্রীউলা ইউনিয়নের হাজরাখালী পয়েন্টে পাউবো’র ভেড়ীবাঁধ ভেঙে যায়। ওই দু’টি পয়েন্ট দিয়ে গত তিন সপ্তাহ ধরে জোয়ারের পানি ঢুকে প্রতাপনগর ও শ্রীউলা ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ভাঙ্গন পয়েন্ট দিয়ে নিয়মিত জোয়রা-ভাটা হওয়ায় আশাশুনি-ঘোলা সড়কের কলিমাখালী এলাকায় সড়কটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মানুষের চলাচলের একেবারে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ওই সড়কের উপর দিয়ে নদীর পানি প্রবাহিত হওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষের চলাচলের সুবিধার জন্য স্থানীয় এক ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের উপর সাঁকো নির্মাণ করে দিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ঠ আরও খবর