আজ || সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম :
  আ’লীগ দেশ ও জাতির শত্রু তাদের ক্ষমা করার কোন সুযোগ নেই : আজিজুল বারী হেলাল       খুলনায় ফের বেপরোয়া কিশোর গ্যাং : খালিশপুরে গ্যাংস্টার সাহাদ বাহিনীর হামলায় আহত ৩       সাতক্ষীরায় সাবেক দুই এমপি ও এসপিসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা       ‘পেটে বাবু আছে, মাইর না’ বলেও বাঁচতে পারলেন না গৃহবধূ       ড. ইউনূসের দুর্নীতি মামলা তুলে নেওয়া আইনসম্মত কি না, শুনানির নতুন তারিখ       আমি ও সালমান আন্দোলনের পক্ষে ছিলাম : আদালতে আনিসুল হক       পাইকগাছার ১৩ গ্রামের বেশিরভাগ কাঁচা ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে       ৩৫২ আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে       হজের প্রাথমিক নিবন্ধন শুরু পহেলা সেপ্টেম্বর       টানা বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, বাড়ছে খাদ্য সংকট    
 


আর কতদিন না খেয়ে থাকলে খাবার পাবে শাহাজাতপুরের সিরাজ?

নাম মোঃ সিরাজ খাঁ।গ্রাম দক্ষিন শাহাজাতপুর। বয়স ৭৯ বছর। শরীরের এই অবস্থায় পেশা হিসেবে নিয়েছিলেন ভিক্ষাবৃত্তি। করোনার কারনে সেই পেশাও আজ নেই তার কাছে। গ্রামের বাড়ি কয়রা উপজেলার নারানপুরের গুগরিকাটি। বর্তমান থাকেন মেয়ের শ্বশুর বাড়ি।
খেশরার ভোটার হিসেবে ৩৫ বছর ভোট দিচ্ছেন এ এলাকার জনপ্রতিনিধিদের। তবুও সহযোগীতা, সহানুভূতি কোনটাই নেই তার প্রতি এই জনপ্রতিনিধিদের। ভোটের সময় এলে কদর বাড়ে তার। ভোট চলে গেলে একদিনের জন্যেই কেউ যায়নি তার বাড়ি।সে কেমন আছে,কিভাবে দিন পার করছে তার কোনটাই খোজ নেয়নি এখানকার সুশীল সমাজ।এমনটাই বলছিলেন এই সিরাজ খাঁ। সিরাজ খাঁ একজন প্রতিবন্ধী। সাথে বধিরও। এক কথা দুই তিন বার বলার পরে শুনতে পান তিনি।তিনি বলছিলেন তার দুঃখের কথা। থাকেন জামাইয়ের বাড়ি,কোন দিন খেয়ে, কোন দিন না খেয়ে।
এমন ভাবে কাটে তার এই বৃদ্ধ জীবন যাপন। খোঁজ পাওয়ার পর তার বাড়িতে গেলে তিনি এই প্রতিবেদকে বলেন,আমি মুরি(মারা) গেলি কি তাই তুমরা (তোমরা) আমাকে ত্রান দুবা (দিবা)? আমি না খেয়ি (খেয়ে) মুরি(মারা) যাচ্ছি।
কোন চেয়ারম্যান, মেম্বর আমাকে কিছুই দেয় নি।এই কি ভাইরাস আইছে(এসেছে) তাতে আমি বাড়ে থেকে বের হতে পারছি না।কেউ আমাকে খাবার দেচ্ছে না।আমি কি করে এখন প্যাট(পেট) চালাবো আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না। সংসারের অভাব অনাটনে কথা হয় তার জামাইয়ের সাথে।
তিনি বলেন,আজ ৩৫ বছর ধরে উনি আমার এখানে আছেন।আমি তাকে দেখা শুনা করি।করোনার কারনে আমিও কর্মক্ষেত্রে যেতে পারছি না। সংসার চালাতে বড় কষ্ট হচ্ছে।আমার শ্বশুরের একটা প্রতিবন্ধী কার্ড ছাড়া কোন কার্ড নেই।অন্তত এই বিপদের সময়ও যদি তার একটা ব্যবস্থা হতো তাহলে খুব ভালো হতো।
তার সম্পর্কে পার্শ্ববর্তী বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আমিনুল ইসলাম বলেন,তিনি খুব অসহায় মানুষ।ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন যাপন করেন।এসময়ে এলাকায় তার মতো অসহায় আর কেউ নেই।উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা উনাকে যেন কিছু খাবারের ব্যবস্থা করেন তার জন্য আমি সবিনয়ে অনুরোধ জানাচ্ছি।


Top