বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন মা ও দুই ছেলে। বিষপানের আগে এক ছেলে তার আত্মীয়কে ফোন দিয়ে বলেন, ‘আমরা সবাই আত্মহত্যা করছি।’ এরপরই সেই আত্মীয় পুলিশ নিয়ে ছুটে আসেন তাদের সোনালি পার্ক আবাসনে।
আজ শুক্রবার সকালে ভারতের কলকাতায় এ ঘটনাটি ঘটে। ভারতীয় গণমাধ্যম জি-নিউজর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, লকডাউনের জেরে পরিবারটির রোজগার বন্ধ হয়ে যায়। সংসারে টানাটানি দেখা দেয়। অর্থকষ্ট চরমে ওঠে। এরপরই আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রিজেন্ট এস্টেটের বাসিন্দা দূর সম্পর্কের এক ভাইকে ফোন করেন ছোট ছেলে।
ফোনে ওই ছেলে বলেন, ‘আমরা সবাই আত্মহত্যা করছি।’ ভাইয়ের কাছ থেকে এ রকম ফোন পেয়েই পুলিশ নিয়ে আবাসনে ছুটে আসেন ওই আত্মীয়।
রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার সোনালি পার্ক আবাসনে দুই ছেলেকে নিয়ে থাকেন প্রণতি সিং সোহেল। ১২ বছর আগে স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। তারপর থেকে বড় ছেলে দেবেন্দ্র সিং সোহেল (বয়স ৪৫ বছর) ও ছোট ছেলে অতীন্দ্র সিং সোহেলকে (বয়স ৪০ বছর) নিয়ে ওই বাড়িতেই আছেন ৬০ বছরের প্রণতি সিং সোহেল। ছোট ছেলে অতীন্দ্র আংশিক পক্ষাঘাতগ্রস্ত। তার নিজেরও বাঁ পায়ের হাড় ভাঙা।
বহু বছর ধরে সেভাবেই আছেন তিনি। তাই নিয়েই কাজ করে সংসার চালাতেন। বাঁশদ্রোণী বাজারে সিটি গোল্ডের চুড়ি, হার ইত্যাদি ফেরি করতেন। তা থেকে যা আয় হত, তাই দিয়েই কোনওমতে সংসার চালাচ্ছিলেন প্রণতি দেবী। কিন্তু লকডাউনের কারণে সেই ফেরি করাও বন্ধ হয়ে যায়।
পুলিশ ঘরের দরজা ভেঙে দেখতে পায়, দুই ছেলে বাইরের ঘরের মাটিতে পড়ে আছে। আর মা প্রণতি সিং সোহেল শোয়ার ঘরে পড়ে আছে। সকলের মুখ থেকেই গ্যাঁজলা বেরচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের বাঘাযতীন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পাম্প করে পেট থেকে বিষ বের করেন চিকিৎসকরা।