অভিনেতারাও কি শুয়ে কাজ পান, প্রশ্ন স্বস্তিকার

খুলনার চিত্র ডেস্কঃ
  • প্রকাশিত : রবিবার, ২১ জুন, ২০২০

বলিউড অভিনেতা সুশান্তে সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর স্বজনপোষণ প্রসঙ্গ টেনে কলকাতার অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র অভিযোগ করেন, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের ‘প্রেম’ থাকার জন্যই নাকি তিনি ‘বুম্বাদা’র বিপরীতে অনেক ভালো ছবির নায়িকা হতে পারেননি। প্রসেনজিৎ তার ‘প্রেমিকা’ ঋতুপর্ণাকে নায়িকা করতে পরিচালক-প্রযোজকদের কাছে অনুরোধ করতেন।

নিজের ইউটিউবে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় শ্রীলেখা এও দাবি করেন, যারা পরিচালক-প্রযোজকদের সঙ্গে অবলীলায় শুতে পারেন, তারাই মুঠো মুঠো কাজ পান। তিনি সেটাও পারেননি। মাথার ওপরে গডফাদারও ছিল না। ফলে, তিনি সুশান্ত সিং রাজপুতের যন্ত্রণা মজ্জায় মজ্জায় অনুভব করতে পারছেন। সুশান্তের মতো তিনিও একজন অবসাদের রোগী বলে জানান।

শ্রীলেখার এই বিস্ফোরক মন্তব্যে ঋতুপর্ণা নীরব থাকলেও মুখ খুলেছেন হট সেনসেশন স্বস্তিকা মুখার্জী। নাম উল্লেখ না করে তার ছোট্ট প্রশ্ন, যেসব অভিনেতা এক পরিচালকের সঙ্গে একাধিক ছবিতে অভিনয় করেন, তারাও কি ‘শুয়ে’ই কাজ জোগাড় করেন? সম্প্রতি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে এমন প্রশ্ন তোলেন নায়িকা।

স্বস্তিকা লেখেন, ‘যখন কোনও অভিনেত্রী কোনও পরিচালককের সঙ্গে এক বা একের বেশি ছবি করে তখন বলা হয়, সে শুয়ে বা প্রেম করে কাজটা পেয়েছে। বেশ। তা, আমি এক পরিচালকের সঙ্গে তার জীবনের ১৭টা ছবির মধ্যে আড়াইখানা ছবি করেছি (২টি মুখ্য চরিত্র, একটি অতিথি শিল্পী)। কিন্তু যেহেতু এই পরিচালকের সঙ্গে সৌমিক হালদার ১১টা, অনুপম রায় ৯টা, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ৭টা, যিশু সেনগুপ্ত ৭টা, অনির্বাণ ভট্টাচার্য ৬টা এবং পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ৬টা কাজ করেছেন, তারা নিশ্চয়ই আরও বেশি করে শুয়ে আর প্রেম করে কাজগুলো পেয়েছেন? এনারা তাহলে সবাই উভকামী ও সুযোগসন্ধানী? যুক্তি তো সবার ক্ষেত্রেই এক হওয়া উচিত, তাই না? নাকি নিজের খামতি ঢাকতে স্লাট শেমিং শুধু আমাদের মতো ‘কুযোগ্য’ অভিনেত্রীদের করা হবে, যারা একেবারেই অভিনয়টা পারে না?’

স্বস্তিকার এই পোস্ট বলিউডের মতো টলিউডকেও হয়তো স্বজনপোষণ বিতর্কে দুই শিবিরে ভাগ করবে। কিন্তু যার লেখার প্রেক্ষিতে স্বস্তিকার এত শব্দ খরচ, সেই শ্রীলেখা কি স্বস্তিকার এই পোস্ট পড়েছেন? প্রত্যুত্তরে কী বললেন তিনি? সংবাদমাধ্যমকে শ্রীলেখা বলেন, ‘আমি পোস্টটি দেখিনি। শুধু এটা নয়, আমার লেখার প্রেক্ষিতে অন্য কারও পোস্ট দেখার প্রয়োজনও বোধ করি না। ফলে, এই নিয়ে আর একটি শব্দও খরচ করব না। যা বলার বলে দিয়েছি। সবার সব কথার উত্তর দিলে তাকে বড্ড বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়।’’

সংশ্লিষ্ঠ আরও খবর