বিনা অপরাধে ৪ মাস জেল খেটে মুক্তি পেলেন খুলনার সেই সালাম ঢালী। আদালতের নির্দেশের পর সোমবার বিকালে বাগেরহাট কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন তিনি।
অন্য কোনো মামলা না থাকলে খুলনার সেই মো. সালাম ঢালীকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ভার্চুয়াল আদালত-৩ এর বিচারক তন্ময় গাইন এই নির্দেশ দেন।
এছাড়া সোনাডাঙ্গা থানার এসআই সঞ্জিত কুমার মণ্ডলকে নিয়মিত আদালত চালু হওয়ার ৭ কার্যদিবসের মধ্যে সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে লিখিতভাবে কেন মো. সালাম ঢালীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তা জানানোরও নির্দেশ দিয়েছেন।
খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার ওসি মমতাজুল হক জানান, একটি চুরি মামলায় ২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে ভুলক্রমে নগরীর শেরে বাংলা রোডের মফিজ উদ্দিন ঢালীর ছেলে মো. সালাম ঢালীকে গ্রেফতার করা হয়। প্রকৃত আসামি হচ্ছে খুলনার শেখপাড়া মেইন রোডের মৃত শফিজ উদ্দিনের ছেলে মো. আবদুস সালাম।
তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার সোনাডাঙ্গা থানার এসআই সঞ্জিত কুমার মণ্ডল বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভুল করে নিরাপরাধ ব্যক্তিকে আটকের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এছাড়া নিরাপরাধ সালামকে মুক্তিদান ও গ্রেফতারি পরোয়ানা পুনরায় ইস্যু করার জন্য আবেদন করেন।
গত প্রায় ৪ মাস ধরে সালাম ঢালী বাগেরহাট কারাগারে রয়েছেন। ইলেকট্রনিক সামগ্রী চুরির ঘটনায় বাগেরহাটের মোংলা থানায় মামলা হয়েছিল ২০০৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর। ওই মামলার রায় ঘোষণা হয়েছিল ২০০৯ সালের ৩০ জুলাই।
এদিকে রায়ের পর সোমবার বিকালেই বাগেরহাট কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন সালাম ঢালী। বাগেরহাট কারাগারের জেলার এটিএম মহিউদ্দিন এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
জানা যায়, চলতি বছরের ১১ মার্চ রাত ১২টায় খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই সঞ্জিত কুমার মণ্ডল সদর থানা এলাকার ৬০/১৮, শের-এ-বাংলা রোডের বাসিন্দা মো. সালাম ঢালীকে গ্রেফতার করেন। মো. সালাম ঢালীর বাবার নাম মফিজ উদ্দিন ঢালী। মো. সালাম ঢালী এখন কারাগারে রয়েছেন। প্রায় চার মাস ধরে নিরাপরাধ মুদি দোকানি মো. সালাম ঢালী বাগেরহাটের কারাগারে সাজা ভোগ করছেন।
অন্যদিকে প্রকৃত অপরাধী মো. আবদুস সালাম খুলনার সোনাডাঙ্গা থানাধীন শেখপাড়া মেইন রোডের মৃত শফিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি এখন পলাতক রয়েছেন।
মূলত নিজের নাম, বাবার নাম ও ঠিকানায় একাংশ মিল থাকার সুযোগ নিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। তবে মামলার বিবরণে উল্লেখিত প্রকৃত আসামির নাম, বাবার নাম বা ঠিকানা কোনোটাতেই পুরোপুরি মিল নেই।