বিদায় নিচ্ছে আরো একটি বছর। তবে প্রতিবছরের মতো এবার এই দিনটিকে ঐতিহ্য নিয়ে উদযাপন করতে পারছে না বাঙালি।
এবার মিলিত না হয়ে ঘরে থেকে সবার কল্যাণ কামনার শক্তিতেই সংস্কৃতিক অভিযাত্রা সুন্দরের দিকে নিয়ে যাবে এমনটাই প্রত্যাশা সংস্কৃতিকর্মীদের। কথা ছিল এবারো প্রতিবছরের মতো নানা আয়োজনে চৈত্র সংক্রান্তিতে মেতে থাকবে মানুষ।
গ্রামের সরল লোকজন কিংবা শহুরে মানুষ পুরনো অসত্য, অসুন্দরকে ফেলে এগিয়ে যাবে চৈত্র সংক্রান্তির মহামিলনে। কথা ছিল, মেলা, পুতুল নাচ উৎসবে মেতে উঠবে বাঙালি। হালখাতা নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথাও ছিল ব্যবসায়ীদের। না, এবার তা হচ্ছেনা। সত্য ও সুন্দরের আগমনের কোনো সুরও বাজছে না। তবে, কি বাঙালি সংস্কৃতির অগ্রযাত্রা থেমে থাকবে?
সংস্কৃতি দিয়েই তো বাঙালি কতকিছুর বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করলো। তবে এবার, শক্র অদৃশ্য হলেও তার বিস্তার সমগ্র বিশ্বজুড়ে দৃশ্যমান। ক্ষণিকের এই নির্বাসন যদি নিজের এবং সকলের জন্য কল্যাণ কামনার হয় তবে এটাই এখন বাঙালি সংস্কৃতির বড় শক্তিতে রূপ নেবে।
কেমন করে বদলে গেল চারিদিক। তবুও মানুষের অন্তনির্হিত শক্তি ঠিকই মানুষকে পৌঁছে দিবে তার আসল ঠিকানায়।
আগামীকাল রক্তিম আভা ছড়িয়ে চারপাশ আলোকিত করবে। নতুন বছর সবার জন্য নিয়ে আসবে শুভ বারতা এমনটাই সবার প্রত্যাশা।
##